স্বদেশ ডেস্ক: পেশিবহুল শরীর পেতে যে কারোরই মাথায় আসে জিমে যাওয়ার কথা। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহারের কথা। পেশিবহুল শরীরের শখ একবার চেপে বসলেই জিমে যাওয়া আর বুঝে কিংবা না বুঝেই হোক, সাপ্লিমেন্ট নেওয়া ছাড়া আমাদের হাতে তেমন কোনো বিকল্প থাকে না। ফলে অনেকেই উদ্দীপনা নিয়ে জিমে যেতে শুরু করেন আর কঠিন বিভিন্ন ধরনের কসরত নিতে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রথমেই যে প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয় তা হলো, শরীরের বিভিন্ন পেশিতে প্রচণ্ড ব্যাথার আবির্ভাব দিয়ে। অনেকে তো সহ্য না করতে পেরে তিনদিনের দিনই গুডবাই দিয়ে আসেন জিমের ট্রেইনারকে। যারা একটু দৃঢ়চেতা প্রকৃতির অর্থাৎ সহজেই হার রা মানা স্বভাবের তারা অনেকে তিন-চার মাস এমনকি এক বছর পর্যন্ত যেতে থাকেন জিমে। কিন্তু নিত্যদিনের কাজের চাপ আর নানান সব কঠিন বাস্তবতায় এক পর্যায়ে বন্ধ করে দেন জিমে যাওয়া। তবে, কেউই যে ঠিকমতো সারা জীবন জিম চালিয়ে যান না, তা অবশ্য নয়। অনেকে বছরের পর বছর জিমে যেয়ে চালিয়ে আসছেন শরীরের কসরত, সাপ্লিমেন্টারিও নিচ্ছেন নিয়ম-মাফিক অনুযায়ী। তবে এদের সংখ্যাটা নেহায়েতই কম। তার মধ্যে আবার এদের একটা বড় অংশ সেলিব্রেটি তারকারা।
তো পেশিবহুল নজরকারা শারীরিক গঠন কী তেবে শুধু হাতেগোনা কিছু মানুষের জন্যেই! এমন আক্ষেপ যে কারোরই হতে পারে। আপনার মাঝেও এই আক্ষেপ হলে তবে রয়েছে দারুণ একটি সুখবর।
জিমে না গিয়েই আপনি সুঠাম ও পেশিবহুল শরীরের অধিকারী হতে পারেন। জেনে নিন তবে কীভাবে-
সকালে উঠে পার্কে বা মাঠে কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটুন বা দৌড়োন৷ সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিন বা অন্তত তিন দিন এমন করুন। সকালে দূষণ কম থাকে বলে ফুসফুসের আরাম হয়৷ ভোরের রোদ গায়ে লাগলে ভিটামিন ডি পায় শরীর। হাঁটতে ভালো না লাগলে সাইকেল চালান বা সাঁতার কাটুন৷
হাঁটু–কোমর–হার্ট ঠিক থাকলে স্কিপিং করতে পারেন৷ করতে পারেন বার্পিস, রক ক্লাইম্বিং, জাম্পিং জ্যাক জাতীয় কার্ডিও ব্যায়াম৷ এতে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়৷ চর্বি ও ওজন যেমন কমে, পেশিও মজবুত হয়।এছাড়াও করতে পারেন ডাম্বেল ওয়েট লিফটি, বুকডন, বেঞ্চ প্রেস, লেগ রাইজ। আর এসব বিষয়ে ধারণা না থাকলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সোজা ইউটিউবে সার্চ দিয়েই দেখে নিন।
মূল ব্যায়ামের পর ১০–১৫ মিনিট যোগ ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন৷ ইচ্ছে হলে বিকেলেও করতে পারেন৷ এতে শরীরের নমনীয়তা বাড়বে৷ মন–মেজাজ ভালো থাকবে৷ আর সাপ্লিমেন্টের প্রতি না ঝুঁকে প্রোটিন আর ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
এ কয়েকটি কাজ নিয়মিত চালিয়ে গেলে আর পয়সা খরচ করে জিমে যেতে হবে না। আর নিজের অনেকদিনের শখও পূরণ হয়ে যাবে।